আবদ্ধ চিংড়ি মাছের বাণিজ্যিক চাষ
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ঘেরে ১৯৯৪ সালে ভাইরাস রোগের প্রাদুর্ভাবের ফলে আধা নিবিড় বাগদা চিংড়ি চাষ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায় । এতে চিংড়ির সার্বিক উৎপাদন ব্যাহত হয়। এই চাষ পদ্ধতি পুনরায় শুরু করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনষ্টিটিউট থেকে আবদ্ধ পদ্ধতিতে বাগদা চিংড়ির আধা-নিবিড় চাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে । এ পদ্ধতিতে ভাইরাসমুক্ত অবস্থায় বাগদা চিংড়ি চাষ করা অনেকাংশে সম্ভব।
সম্পূর্ণ তথ্যের জন্য প্রবেশ করুনরুই মাছের বানিজ্যিক চাষ
জনপ্রিয়তা এবং চাষ প্রযুক্তির তুলনামূলক সহজলভ্যতার কারণে রুই জাতীয় মাছের চাষ বাংলাদেশে সর্বাধিক। ফলে অনেক চাষি এই মাছ চাষে আগ্রহী। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করে চাষিরা অল্প সময়ে অধিক মুনাফা অর্জনে সক্ষম হচ্ছেন। চাষ নিবিড়তার পাশাপাশি “উত্তম মৎস্যচাষ অনুশীলনের”(Good Aquaculture Practices-GAP) মাধ্যমে নিরাপদ মাছ উৎপাদন করে অধিকতর উচ্চমূল্যে বাজারে বিক্রয় করা সম্ভব।
সম্পূর্ণ তথ্যের জন্য প্রবেশ করুনকৈ, শিং ও মাগুর মাছের চাষ ব্যবস্থাপনা
মাছে-ভাতে বাঙ্গালীদের কাছে কৈ, শিং ও মাগুর মাছ অতি পরিচিত ও প্রিয় মাছগুলাের মধ্যে অন্যতম। মাছটি খেতে খুব সুস্বাদু এবং বাজার মূল্যও অনেক বেশী । এক সময় এদেশের নদ-নদী, ধান ক্ষেতে, হাওড়, বাওড় ও খাল-বিলে এ মাছ প্রচুর পাওয়া যেত কিন্তু নদ-নদীর উজানে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, ধান ক্ষেতে কীটনাশকের ব্যবহার, বিল সেচে শুকিয়ে মাছ ধরা ইত্যাদি নানাবিধ কারণে প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস হওয়ায় এ মাছের প্রাপ্যতা দারুণভাবে হ্রাস পায়। মূলত চাষিদের ক্রমাগত প্রচেষ্টার ফলে এই মাছের নিবিড় চাষের প্রযুক্তির বিল্পব ঘটেছে।
পাবদা মাছের পোনা উৎপাদন ও চাষ ব্যবস্থাপনা
মাছে-ভাতে বাঙ্গালীদের কাছে পাবদা মাছ অতি পরিচিত ও প্রিয় মাছগুলাের মধ্যে মান্যতম। মাছটি খেতে খুব সুস্বাদু এবং বাজার মূল্যও অনেক বেশী । এক সময় এদেশের নদ-নদী, ধান ক্ষেতে, হাওড়, বাওড় ও খাল-বিলে এ মাছ প্রচুর পাওয়া যেত কিন্তু নদ-নদীর উজানে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, ধান ক্ষেতে কীটনাশকের ব্যবহার, বিল সেচে শুকিয়ে মাছ ধরা ইত্যাদি নানাবিধ কারণে প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস হওয়ায় এ মাছের প্রাপ্যতা দারুণভাবে হ্রাস পায়। প্রজননের মাধ্যমে পােনা উৎপাদন ও চাষে সফল হয়।
সম্পূর্ণ তথ্যের জন্য প্রবেশ করুন
আয়: উৎপাদন ৪৫০০ কেজি x ২২৫ টাকা প্রতি কেজি হারে = ১০,১২,৫০০/- টাকা
ব্যয়: ৬,০৯,৩৭৫/-
মুনাফা: ১০,১২,৫০০- ৬,০৯,৩৭৫ = ৪,০৩, ১২৫/-
বর্ণিত পদ্ধতিতে একর প্রতি মাছের উৎপাদন ৪-৫ টন পাওয়া সম্ভব। সম্ভাব্য উৎপাদন ব্যয়, আয় ও মুনাফা উল্লেখ করা হয়েছে।
মাছের রেণুকে প্রয়োজনীয় পরিচর্যার মাধ্যমে লালন পালন করে মজুদ পুকুরে ছেড়ে চারা পোনায় উন্নীত করার পদ্ধতিকে নার্সারি ব্যবস্থাপনা বলে । যে ক্ষুদ্রায়ত জলাশয়ে বা পুকুরে মাছের রেণু অত্যন্ত যত্ন সহকারে লালন করে মজুদ পুকুরে ছাড়ার উপযুক্ত করে বড় করা হয় তাকেই নার্সারি পুকুর বলে। নার্সারি ব্যবস্থাপনা অর্থনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত লাভজনক। মাছ চাষিরা স্বল্প খরচে খুব সহজেই নাসারি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পোনা উৎপাদন করতে পারে। মাছের রেণু পোনা বড় করার জন্য নার্সারি পুকুরে ৩-৮ সপ্তাহ লালন করা হয়।
মানুষ সৌন্দর্যের পূজারি। প্রকৃতির বিচিত্র বাহারি মাছ যখন স্বচ্ছ কাচের জলজবাগানে ঘুরে বেড়ায় তা দেখতে কার না ভালো লাগে! অ্যাকুরিয়াম হচ্ছে এমনি ধরনের চারদিকে কাচ দিয়ে ঘেরা জলধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পাত্র, যেখানে মাছ ও উদ্ভিদ রাখা সম্ভব। অ্যাকুরিয়াম কেবল শখ কিংবা শোভাবর্ধনকারী নয়, এর বাণিজ্যিক গুরুত্বও রয়েছে বেশ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে রাজধানীর কাঁটাবনে গড়ে উঠেছে অ্যাকুরিয়ামের জমজমাট ব্যবসা।
রোগের নাম | লক্ষণ | প্রতিকার |
---|---|---|
ক্ষত রোগ | লাল দাগ দেখা যায় ও আঁইশ পড়ে যায় | প্রতি শতাংশে প্রতি ১/২ কেজি হারে লবণ প্রয়োগ। |
মাছের লেজ ও পাখনা পচা রোগ | লেজ ও পাখনা পচে যায়, পাখনা ছিড়ে সাদা হয়ে যায় | প্রতি শতাংশ প্রতি ফুট গভীরতায় ২৪-৩৬ গ্রাম পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট বা প্রতি শতাংশ প্রতি ফুট গভীরতায় ৬ গ্রাম হারে তুতে প্রয়োগ |
ফুলকা পচা রোগ | ফুলকা ফুলে যায় ও রক্ত জমাট বাধে | চুন ১/২ কেজি প্রতি শতাংশ হারে প্রয়োগ |
মাছের উকুন | মাছ শক্ত কিছুতে গা ঘষে | প্রতি শতাংশ প্রতি ফুট গভীরতায় ০২-০৩ মিলি হারে সুমিথিয়ন/ফেনিট্রন প্রয়োগ (৭ দিন পরপর ৩ বার) |
পূবর্বতী সময় | চলাকালীন সময় | পরর্বতী সময় |
---|---|---|
পুকুরের চারপাশে জালের বেশ্ঠনী।(৩-৪ ফুটের জাল ব্যবহার করতে হবে।) | পুকুর সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করতে হবে। | পুকুরে গাছের ডালপালা থাকলে উঠিয়ে ফেলতে হবে। |
পুকুরের পাড় উচু করতে হবে।(বাহিরের পানি ভিতরে ডুকতে পারবে না এবং দূষিত পানি পুকুরে প্রবেশ করতে পারবে না।) | পুকুরের পাড় উচু করতে হবে।(বাহিরের পানি ভিতরে ডুকানো যাবে না এবং দূষিত পানি পুকুরে প্রবেশ করতে পারে) | পুকুর সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করতে হবে। |
পুকুরে অতি বৃষ্টি/অনা বৃষ্টি সময় পাথরে চুন ২০০-৩০০ হারে প্রয়োগ করতে হবে। | বন্যা বা অতিবৃষ্টির সময়ে খাদ্য প্রয়োগ বন্ধ রাখতে হবে। | পুকুরে অতি বৃষ্টি/অনা বৃষ্টি সময় পাথরে চুন ২০০-৩০০ হারে প্রয়োগ করতে হবে। |
পুকুর সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করতে হবে। | পুকুরের চারপাশে জালের বেশ্ঠনী ঠিক আছে কিনা দেখতে হবে।(৩-৪ ফুটের জাল ব্যবহার করতে হবে।) | পুকুরে নেমে পুকুরের তলদেশের অবস্থা ঠিক আছে কিনা দেখতে হবে। |
প্রশিক্ষক: সাদিয়া রহমান, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সিংগাইর, মানিকগঞ্জ।
সঞ্চালনায়: হৃদয় জোমাদ্দার, পরিচালক, মৎস্য বাংলাদেশ।
তারিখ: ০১/০১/২০২৫ খ্রি:
ব্যাচ – ১
সময়: সকাল ১০:০০ ঘটিকায়
যোগাযোগের ঠিকানা: +8801766-272375 >===> নগদ অ্যাকাউট নম্বর
* একজন নতুন চাষী কিভাবে পুকুর পরিমাপ করবে তা জানতে পারবেন? * পুকুর নির্বাচন * পুকুরে পোনা সংগ্রহ * কী পরিমাণ পোনা পুকুরে ছাড়লে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন? * ভালো মানের পোনা নির্বাচন * নার্সারি ব্যবস্থাপনা * কি পরিমাণে খাদ্য প্রয়োজন এ সম্পকৃত তথ্য জানতে পারবেন? * কতটুকু আর্থিক মূলধন থাকতে হবে এই সম্পকৃত তথ্য জানতে পারবে? * কার্প জাতীয় মাছ চাষ পদ্ধতি * কৈ,শিং ও মাগুর মাছের বাণিজ্যিক চাষ * মনোসেক্স তেলাপিয়া মাছের বানিজ্যিক চাষ * একক তেলাপিয়া মাছ চাষ পদ্ধতি * একক পাঙ্গাস মাছ চাষ পদ্ধতি * মিশ্র মাছ চাষ পদ্ধতি * চুন প্রয়োগ * সার প্রয়োগ * পানি ও মাটির গুণাগুণ পরিক্ষা ও প্রশিক্ষণ উপহার: হিসাব বই ফি: ২০০০/-
রেণু পোনা বেঁচে থাকা ও বৃদ্ধির হার ভাল ও খারাপ রেণুর ওপর নির্ভরশীল তাই হ্যাচারি বা অন্য কোন উৎস থেকে রেণু পোনা সংগ্রহের সময় নিম্নের বিষয়গুলো বিবেচনায় আনা আবশ্যক।
ভাল ও খারাপ রেণু পোনা সনাক্তকরণের উপায়:
দেখুন বিষয় | ভাল রেণু | খারাপ রেণু |
---|---|---|
দেহের রং | কালচে বাদামী/সবুজ ও ঝকঝকে উজ্জ্বল | ফ্যাকাশে |
চলা-ফেরা | দ্রুত ও চটপটে | ধীরস্থির |
রেণুর পাত্রে আঙ্গুল দিল | দ্রুত সরে যায় | আস্তে আস্তে সরে যায় |
স্রোতের বিপরীতে চলাচল অবস্থা | স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটতে সক্ষম | স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটতে অক্ষম |
মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি করি
সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ি।
মৎস্য বাংলাদেশ ওয়েব সাইটির সাথে থাকতে ই-মেইল ঠিকানা লিখুন।
স্বত্ব © ২০২১-২২ মৎস্য বাংলাদেশ সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত।